Sunday, October 21, 2007

শহীদ কাদরীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠানো নিয়ে যতো কাণ্ড

কবি শহীদ কাদরীর জন্মদিন উপলক্ষে ব্লগারুদের শুভেচ্ছা সংগ্রহ করে তাঁকে ভার্চুয়াল তোড়াটি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। অনেক কাণ্ড ঘটিয়ে সেটি তাঁর কাছে পৌঁছেছে গত শনিবার, জন্মদিনের চারদিন পরে।

আগেই বলেছি, উদ্যোগটা নেওয়া শহীদ ভাইকে না জানিয়ে। জানালে কিছুতেই সম্মতি পাওয়া যেতো না। ব্লগারুদের শুভকামনাসূচক বার্তাগুলি জমা হওয়ার পর নীরা ভাবীকে লিংকসহ ইমেল করে জানালাম, সর্বশেষ ধাপটিতে তাঁর সহায়তা ছাড়া ষড়যন্ত্র সফল হবে না। ইমেলের উত্তরের জন্যে একদিন অপেক্ষা করার পর ফোন করে জানলাম, ইমেল তিনি দেখেননি। ওই ইমেল ঠিকানাটি তাঁর কর্মক্ষেত্রের এবং তিনি এখন ছুটিতে।

বাসার ইমেল ঠিকানায় পাঠাতে বললেন। ষড়যন্ত্রের অংশীদার হতে এবং ইমেল পাওয়ার আগ পর্যন্ত শহীদ ভাইকে কিছুই না জানাতে তিনি সানন্দে সম্মত। পাঠালাম ইমেল। রাতে ফোন করে নীরা ভাবী জানালেন, বাসার কমপিউটারে কীসব ঝামেলা হচ্ছে। বললেন, আদনান সৈয়দ নামে একটি ছেলে তাঁদের কাছাকাছি থাকে এবং তার কাছে ইমেলটি ফরোয়ার্ড করলে তিনি পেয়ে যাবেন। তথাস্তু বলে ইমেল পাঠানো গেলো আদনান সৈয়দকে। তার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই, ইমেলের প্রাপ্তিস্বীকারও পাওয়া গেলো। আমি নিশ্চিন্ত হয়ে বসে আছি নীরা ভাবী বাকি ঘটনা জানাবেন বলে। সে ফোন আর আসে না।

রোববার দুপুরে কাহিনী জানা গেলো, আদনানের মাথায় অন্য আইডিয়া ছিলো। সে নিউ ইয়র্কে প্রথম আলো বন্ধুসভার একজন এবং তাদের পক্ষ থেকে গত শনিবার শহীদ কাদরীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা হয়েছিলো। অনিচ্ছা এবং শারীরিক অসুবিধা সত্ত্বেও এই ছেলেদের অনুরোধ শহীদ ভাই ফেলতে পারেননি। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চে নীরা ভাবী ও শহীদ ভাইসহ সবাইকে চমকে দিয়ে আদনান ব্লগারুদের শুভেচ্ছাবার্তাগুলি পাঠ করে ইতিবৃত্তসহ।

শহীদ ভাই জন্মদিন নিয়ে উচ্ছ্বসিত কখনোই নন, পালন করা নিয়েও নয়। তবে আমাদের ব্লগারুদের শুভকামনাগুলি তাঁকে কিছু উৎফুল্ল করেছিলো, নীরা ভাবীর সাক্ষ্য থেকে জানা গেলো।

------------------------------------
সচলায়তন / সামহোয়্যারইন - ২০০৭-০৮-২০
------------------------------------

No comments: