Saturday, October 27, 2007

১৯৭১ সালে কিছু হয়েছিলো নাকি?

অফিসে বসে কাজ করতে করতে মাঝে মাঝে সচলায়তনে উঁকি দেওয়া অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। একটু আগে আজকাল তো কিছুই মনে থাকে না : ১৯৭১ সালে কিছু হয়েছিল নাকি? শিরোনামের ব্যানার দেখে মাথা পাগল-পাগল লাগে। উঠে বাইরে গিয়ে পরপর কয়েকটা সিগারেট খেতে হয়।

আজ সকালে ইন্টারনেটে পড়ছিলাম, কে একজন বলেছে (একে চিনি নাকি? মনে পড়লো না) বাংলাদেশে যুদ্ধপরাধী বা স্বাধীনতাবিরোধী বলে কিছু ছিলো না কোনোকালে।

ঠিক কথা। যুদ্ধ হলে তবে না যুদ্ধাপরাধী থাকার কথা ওঠে। এ দেশে যুদ্ধ কবে হয়েছিলো? অর্বাচীনদের জানিয়ে দাও, আমাদের স্বাধীনতা আকাশ থেকে অবতীর্ণ হয়েছিলো।

ধূমপান করতে করতে কী কী মনে পড়ে না তার একটা তালিকা করা গেলো:

১. ওই বছর এ দেশে মৃত্যুহার অতি উচ্চ হয়ে পড়েছিলো বলে কেউ কেউ দাবি করে। কারণ হিসেবে বলা হয় নির্বিচার হত্যা। বিষয় অমীমাংসিত।

২. ওই বছর সারা দেশ জুড়ে একটা গণভ্রমণের প্রবণতা দেখা গিয়েছিলো। বাড়িঘর ছেড়ে মানুষ বনেজঙ্গলে যায় উৎসব করতে। মিলিটারির কথা বলে বাচ্চাদের কান্না থামানোর এক চমকপ্রদ উপায় এই সময়ে উদ্ভাবিত হয়েছিলো, যা আজও মাঝে মাঝে কার্যকর।

৩. জানা যায়, এক কোটি লোক পাশের দেশে যায় পিকনিক করতে। এতো বিশাল আকারের দীর্ঘস্থায়ী পিকনিক পৃথিবীর ইতিহাসেই কম হয়েছে বলে জানা যায়।

৪. একদল বেয়াড়া অবাধ্য বালক ও যুবক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার অভিনয় করেছিলো তখন।

৫. আমার বাল্যকালের বন্ধু সাইফুল, বাদশা ও আলতাফ আলীকে কেন কে জানে আর কোনোদিন খুঁজে পেলাম না। ছটফটে দুলালের দুটি চোখই কী এক অলৌকিক উপায়ে নেই হয়ে গেলো।

৬. সুদর্শন মাসুদ ও আরেক বন্ধুর ছোটো ভাই স্কুলে-পড়া বালক টিটুর নামের আগে শহীদ লেখা ফ্যাশন হয়ে গেলো।

৭. বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম নামকরণের মানে কী? সে না হয় ছিলো এক প্রতিশ্রুতিবান ফুটবলার, না হয় ৭১-এর মাঝামাঝি থেকে আর কখনো তাকে কোথাও দেখা যায়নি। তার নামে স্টেডিয়াম?

আরো অনেক অনেক কথা মনে পড়েনি। সময় পেলে পরে লেখা যাবে।

----------------
২০০৭-১০-২৬
----------------

1 comment:

khalid taj said...

i am waiting for next lines......