বাবা, কী হয়েছে তোমার বলো তো?
এই তো সামান্য অসুস্থ।
তুমি কিছু লুকাচ্ছো?
না তো, কেন?
আজ চারদিন ধরে দেখছি তুমি বেশিরভাগ সময় ঘুমাচ্ছো, না হয় চুপ করে শুয়ে আছো।
বুকে কফ জমেছে।
তা জানি, কাশি শুনতে পাই। জ্বরও আছে জানি। আর কিছু তো জানতে পারছি না।
একটু আগে ডাক্তারের কাছ থেকে ফিরেছি, মেয়ে তখন ক্লাসে ছিলো। তাকে বলি না, আর দু’একদিন দেরি হলে আমার নিউমোনিয়া হয়ে যেতে পারতো। অযথা তার উদ্বেগ বাড়িয়ে কাজ কী? বলি, তেমন কিছু না।
তোমাকে এতো লম্বা সময় বিছানায় দেখি না। সত্যি বলো, তুমি কিছু লুকাচ্ছো না!
মিথ্যা করে বলি, সত্যি না। এই যে তুই ছুঁয়ে দিলি, এখন আমি সেরে উঠবো।
মেয়ে, কে জানে কেন, হঠাৎ দুই হাতে মুখ ঢেকে ফুঁপিয়ে ওঠে।
বলি, এই তোর আবার কী হলো? তোকে বলা হয়নি, কাল আমি সারাদিনে সাতটা সিগারেট খেয়েছি, আজ এ পর্যন্ত দুটো।
চোখ মুছে মেয়ে বলে, তুমি সত্যি বলছো এবার ছাড়বে?
মনে মনে বলি, তোদের জন্যে আমি হয়তো মরতেও পারবো না। আমি এতো দরকারি মানুষ কবে হয়ে উঠলাম? কীভাবে?
------------------
২৬ এপ্রিল ২০০৮
------------------
Sunday, May 4, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment