নিউ ইয়র্কে প্রবাসী কবি শহীদ কাদরী দীর্ঘকাল ধরে দুই অকেজো কিডনি নিয়ে চিকিৎসাধীন। একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আছেন পাঁচ বছর। সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালিসিস তাঁকে সীমিতভাবে সচল রেখেছে। সপ্তাহ দেড়েক আগে পিঠে অসহ্য ব্যথা বোধ করলে তাঁকে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নেওয়া হয়। দু’দিন আগে তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়েছে একাধিক গুরুতর শারীরিক জটিলতার কারণে। তখন থেকে তাঁকে সিসিইউ-তে পর্যবেক্ষেণে রাখা হয়েছে, নানাবিধ পরীক্ষা চলছে।
রক্তে সংক্রমণ ও নিচু রক্তচাপ চিকিৎসকদের সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রেখেছে। হার্টবিট নেমেছে ৪৭-এ। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। এপিলেপসির লক্ষণও দেখা গেছে, পরশু এবং আজ সিজার হয়েছে। নিউরোলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। তবে রক্তচাপ স্বাভাবিকের কাছাকাছি না এলে তা করা সম্ভব হবে না।
এইসব জটিলতার কারণে নিয়মিত ডায়ালিসিস করা যাচ্ছে না, করা হচ্ছে আংশিক। একটাই হয়তো ভালো খবর, তাঁর হার্টে কোনো গোলযোগ পাওয়া যায়নি। সেটা হলে দুর্যোগ আরো বড়ো ও জটিল হতে পারতো।
শারীরিক এতোসব সংকট সম্পর্কে আমার ধারণা প্রায় শূন্য, তবে কবির অসুস্থতা যে গুরুতর তা কোনো বালকও বুঝবে। নীরা ভাবী ফোনে যা জানিয়েছেন, তাই বয়ান করছি। শহীদ ভাইয়ের অনুরাগী-শুভার্থীদের খবর জানাতে অনুরোধ করে তিনি বললেন, আমি নিজেও অসুস্থ, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সবাইকে এইসব বলতে বলতে আমি ভেঙে পড়ছি। কেউ যদি আমাকে এখন কিছু জিজ্ঞাসা না করেন, তাহলে সবচেয়ে ভালো হয়।
শহীদ কাদরী আছেন লং আইল্যান্ড জ্যুয়িশ হাসপাতালের সিসিইউ-এর ১৩ নম্বর কক্ষে। নিউ ইয়র্কবাসী কেউ ইচ্ছে করলে হাসপাতালে যেতে পারেন। হাসপাতালে ফোন (৭১৮.৪৭০.৭০০০) করলে ঠিকানা ও দিক-নির্দেশনা পাওয়া যাবে।
ডাক্তাররা বলেছেন, শহীদ ইজ আ ফাইটার।
আমরা চাই, যোদ্ধা যেন জয়ী হয়ে ফেরেন।
যাঁরা বিশ্বাসী, তাঁরা প্রার্থনা করতে পারেন কবির জন্যে। আর আমরা অবশিষ্টরা উদ্বেগ-ঊৎকণ্ঠা নিয়ে মন খারাপ করে বসে থাকা ছাড়া আর কী করতে পারি?
-----------------
জুন ০৭, ২০০৮
-----------------
Sunday, June 8, 2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment