বাংলা সিনেমা বিষয়ে আনোয়ার সাদাত শিমুল ও লুৎফুল আরেফীন রচিত পরপর দুটি ব্লগ পড়ে একটু পুরনো কথার জাবর কাটতে ইচ্ছে হলো।
সত্তর দশকের মাঝামাঝি আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, সে সময় বাংলা সিনেমার অবস্থা এখনকার চেয়ে খুব ভালো ছিলো না। তবে খান আতা, সুভাষ দত্তরা তখনো যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন বলে তখনো মাঝেমধ্যে সিনেমা হলে যাওয়া হয়। 'রংবাজ' দিয়ে নতুন এক ধারার ছবি তৈরি শুরু হয়েছিলো যেখানে নায়ক নেহাতই গুডি গুডি বয় নয়। এরপর 'কার হাসি কে হাসে', 'বানজারান', 'সওদাগর' এইসব ছবি ক্রমে বাজার দখল করে নিচ্ছে।
রঙিন ও সাদাকালো ছবির আনুপাতিক হার তখন মোটামুটি ৫০-৫০। আরেক বিশেষ ধরনের ছবি তৈরি হয়, সেগুলির বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে 'আংশিক রঙিন'। জিনিসটা সাদাকালো ছবির মাঝখানে গোটা দুয়েক রঙিন নৃত্যদৃশ্য। তুমুল চাঞ্চল্যকর সেই নৃত্যগুলির একচ্ছত্র রানী ছিলো নূতন। সত্যি বলতে কি, নূতন ঠিক গোস্তের বস্তা ছিলো না। তাকে দেখার জন্যে আমরা মাঝেমধ্যে দল বেঁধে রাতের শোতে ঢুকে পড়তাম। মোটামুটি ছক জানা ছিলো বলে ছবির মাঝখানে সময়মতো ঢুকে রঙিন নাচপর্ব শেষ হলে বেরিয়ে যাও। ছবি কি, গল্প কি কিছুই জানার দরকার নেই।
বিবাহিত জীবনের শুরুতে নতুন বউয়ের বায়না, সিনেমা দেখতে যাবে। নতুন বউয়ের আবদার অমান্য কে কবে করেছে? কলাবাগান থেকে সবচেয়ে কাছের সিনেমা হল বলাকা। কী ছবি দেখতে যাচ্ছি জানি না। গিয়ে দেখি, ছবির নাম 'বাসরঘর'। লে হালুয়া! বাসরঘর থেকে বেরিয়ে আরেক বাসরঘর! টিকেট করে হলে ঢোকার মুখে 'আসিতেছে, শীঘ্রই শুভমুক্তি' শিরোনামে একটি ছবির পোস্টারে চোখ আটকে যায়। ছবির নাম 'তালাক'। বউকে দেখিয়ে বলি, এরপর কি এই ছবি দেখতে চাও?
Saturday, February 9, 2008
Subscribe to:
Posts (Atom)